ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের দখলদারিত্ব!
ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের দখলদারিত্ব
মধ্য প্রাচ্যের শান্তির পরিকল্পনার প্রস্তাবকারী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশ্রয় পেয়ে প্রকট হয়েছে ইজরায়েলের দখলদারিত্ব। আগের যেকোনো যুক্তরাষ্ট্রের শাসকের তুলনায় ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে অবৈধ বসতি স্থাপন বেড়েছে দিন দিন। আর সেসব কারণে বেড়েছে সংঘাত। পশ্চিম তীরে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন স্থাপনা যার পরিমান ৯ হাজারেরও বেশি।
আর এসব তথ্য গুলো এসেছে বার্তা সংস্থা এপির মাধ্যমে। তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য, ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ফাতিমা বলেন, তিনি সেখানকার বৃষ্টি আকাশ বাতাস দেখে বেড়ে উঠেছেন শৈশব থেকেই আর এখন তার তা অচেনা লাগছে। কারণ সবটা এখন ইহুদিদের দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। নিজের বলে জেনে আসা এলাকাটিতে নেই কোনো অবাধ বিচরণের সুযোগ। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে প্রতিষ্ঠিত ইজরাইলিদের রাষ্ট্রের দখলদারিত্ব বন্ধ হয়নি। এখনো ঘরহারা মানুষের অভিযোগ অল্প অল্প করে পুরো ফিলিস্তিন দখল করে ফেলার চক্রান্ত ইহুদিদের। যে কারণে তারা বেশির ভাগ এলাকার একটি করে ইহুদি বসতি নির্মাণ চলছে।
নাসিমা গোলজার নামে একজন বলেন, আমরা এখানে পানি আনতে যেতাম এবং পানির সব উৎস সেখানেই ছিল। এখন সম্পূর্ণভাবে তারা এটাকে আটকে দিয়েছে আমরা কোনো ভাবেই সেখানে ঢুকতে পারি না এবং পানিও আনতে পারি না।আমাদের এই বসতবাড়ি এলাকাতে ভূমি সম্পদে আমাদেরই কোনো অধিকার নেই। অথচ আমাদের গ্রাম গুলোতেই নতুন নতুন বাড়ি ঘর গড়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর আসলে কার?
গোপন নীতি আবার যাই হোক না কেন, কখনো প্রত্যক্ষ ভাবে সমর্থন ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা থাকাকালীন অবস্থায় সেটা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। পর্যবেক্ষণকৃত কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে, পশ্চিম তীরে রেকর্ড সংখ্যক ৯২০০ টি নতুন স্থাপনা নির্মাণ করে ইজরায়েল।
আবারও দেখা যায় পশ্চিম তীরে ইহুদিদের দলের সংখ্যা ১৩০ টি এলাকাতে ৫ হাজারেরও বেশি। আরও ১২ হাজার ১৫৯ টি বসত বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় গত বছর। আরও একজন কর্মকর্তা বলেন, বারাক ওবামার ক্ষমতা থাকাকালীন অবস্থায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি, কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে দেখা দেয় এমন ধরনের নতুন এক চিত্র। আর সে সকল নতুন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করতে গেলে অন্যায় অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় ফিলিস্তিনিদের। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো, অনেক ফিলিস্তিনি শ্রমিক কাজ করেন এসব প্রকল্প গুলোতে।
ফিলিস্তিনিদের পবিত্র নগরীকে ইহুদিরা ইজরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে এক বিশাল ঝামেলা সৃষ্টি করেছে এবং তাদের শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত করেন ডোনাল ট্রাম্প। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চান নতুন এক সমাধান। আর সে টা কীভাবে কার্যকর হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।