ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক যেন দর্শকদের মনে মিশে গেছে!
ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক রিভিউ
জিয়াউল হক পলাশ, নামটা এখন সবার কাছেই পরিচিত। ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক থেকে আরও একটা নাম পেয়েছেন সেটা হলো “কাবিলা”। আর এ নামটির পেছনে রয়েছে ব্যাচেলর পয়েন্ট ধারাবাহিক নাটকটি। নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির পরিচালিত নাটকটি বিগত ২ বছর ধরে সাধারণ মানুষের কাছে এক তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর সে জনপ্রিয়তা থেকে নাটকটি ভালোবেসে দর্শকদের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছেন নাটকের শিল্পী ও নির্মাতারা।
ব্যাচেলর পয়েন্টের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পী জিয়াউল হক পলাশ ওরফে কাবিলার সাথে কথা বলে জানা যায়- তার দেশের বাড়ি নোয়াখালীতে হওয়ায় তার নিজস্ব এলাকার ভাষায় কথা বলে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন! এ ছাড়াও তিনি আরও বলেন তিনি অনেক খুশি হয়েছেন যে তার চরিত্রটা দর্শকেরা এমন ভাবে গ্রহণ করেছেন যে নাটকটার পর্ব শেষ হলেও দর্শকরা মেনে নিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: “I Am Kalam” মুভি রিভিউ!
উল্লেখ্য, ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের সিজন ০১ শেষ হওয়ার সাথে সাথে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি নাটকটি শেষ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন! আর সে ঘোষণার পর শাহবাগে দর্শকরা মিছিল করেছিল এ নাটকের ২য় সিজন নিয়ে আসার জন্য। আর দর্শকদের কথা ভেবেই তিনি ২য় সিজন নিয়ে আসেন এবং ২য় সিজনের ৭৯ তম পর্বের মাধ্যমে ব্যাচেলর পয়েন্টের সমাপ্তি ঘটে।
নাটকের শেষ পর্বে দেখা যায় যে বন্ধু শুভর জন্য কাবিলা এলাকার ছেলেদের সাথে ঝগড়া করে এক পর্যায়ে ওই ছেলেদের আহত করলে তাকে জেলে নেওয়া হয় আর জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ের মধ্য দিয়েই এ নাটকের সমাপ্তি ঘটে। আর কাবিলার জেলে যাওয়ার বিষয়টি দর্শকরা মেনে নিতে পারছেন না। তারা চায় কাবিলা জেল থেকে ফিরে আসুক এবং সেজন্য নতুন পর্ব বা সিজন শুরু করার জন্য নির্মাতাকে মামলার হুমকিও পর্যন্ত দিয়েছেন দর্শকরা।
পলাশ আরও বলেন, তিনি ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক দিয়ে নিজের নতুন অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি আরও বলেন, এই নাটকে একজন ব্যাচেলর এর জীবন সম্পর্কে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যে কারণে নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ যুবক তথা বেশির ভাগ ব্যাচেলররা এ নাটকের চরিত্রের সাথে সুন্দর ভাবে মিশে গেছেন।
জিয়াউল হক পলাশ এর পরিচয়:
তার পরিচয় বলতে তার আসল নাম জিয়াউল হক পলাশ। আর ডাক নাম পলাশ। কিন্তু ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক শুরু করার পর তাকে “কাবিলা” বলেই চিনেন অনেকে। তার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা হলেও বাবার বাড়ি নোয়াখালীতে। তিনি তিতুমীর কলেজ থেকে বিবিএ শেষ করেছেন এবং সহযোগী ডিরেক্টর হিসেবে তার মিডিয়া জগতে পথ চলা শুরু হলেও; তিনি এখন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন। তার প্রিয় মানুষ তার বাবা; আর তার পর সঙ্গীত শিল্পী জোনায়েদ ইভান এবং পরিচালক মোস্তাফা সারোয়ার ফারুকী।