ঈদে কেনাকাটা যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকা জরুরি
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদ। সবচেয়ে বড় উৎসব আছে মুসলমানদের দুইটি ঈদ। সারা বছর সবাই এই বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। এই দিনকে ঘিরে থাকে নানা পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার বড় একটি অংশ ঈদের কেনাকাটা করা। নিজের এবং প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাকটি কিনতে গিয়ে যেন সবচেয়ে সুন্দরটিই নির্বাচন করতে পারেন সেজন্য ঈদের কেনাকাটা করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঈদের কেনাকাটায় যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকা জরুরি…
১.ঈদের কেনাকাটার জন্য বহু মানুষ নামাজ কাজা করে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর হুঁশিয়ারি হলো তাদের পরে এলো অপদার্থ পরবর্তীরা তারা নামাজ নষ্ট করল ও লালসার বশবর্তী হলো। সুতরাং তারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। (সুরা মারিয়াম, আয়াত : ৫৯).তাই সবার উচিত কেনাকাটা করার সময় যেন নামাজ কাজা না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা।
২. ঈদে সামর্থ্যবান পরিবারগুলো প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনেই অর্থ বেশি ব্যয় করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না। যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।(সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৬-২৭).তাই অর্থের অপচয় না করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করা।
আরো পড়ুন: ঐতিহ্যবাহী টাকার হাট!
৩.কেনাকাটা চলাফেরা সব কিছুতে আল্লাহর সীমা রক্ষা করা। বিশেষত মহিমান্বিত রমজানের বরকত থেকে যেন আমরা বঞ্চিত হয়ে না যাই সেদিকে লক্ষ রাখা। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান ও শবেকদরের বরকত থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি বলেছেন, ওই ব্যক্তির নাক ধুলাধূসরিত হোক যে রমজান পেল এবং তার গুনাহ মাফ করার আগেই তা বিদায় নিল।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৫)
৪.সর্বশেষ আপনার সামর্থ্য অনুযায় কেনাকাটা করবেন। সামর্থের বাহিরে কেনাকাটা করা উচিত নয়। আপনার কি কি লাগবে একটা তালিকা করুন। বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা করতে হবে। অতিরিক্ত দাম দিয়ে না কিনে যাচাই করে কেনাকাটা করা সর্বোত্তম।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।