ধর্ম

রমজানে যা যা করবেন এবং যা করবেন না

রমজান হলো রহমত বরকত ও মাগফেরাতের মাস। এই মাস তাই সবার কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাই চায় কীভাবে এ মাস থেকে বেশি বেশি উপকৃত হওয়া যায়। সবাই আন্তরিকভাবে কামনা করে নিজেকে সকল প্রকার পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে পবিত্র একটি জীবন শুরু করতে। হিজরী পঞ্জিকার বারোটি মাসের মধ্যে শুধুমাত্র একটি মাসের নামই পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে আর সে মাসটি হলো রমযান।

যা এ মাসটির অসামান্য মর্যাদা পরিচয় বহন করে।রমযান একটি আরবি শব্দ। এর শব্দমূল হলো রা-মিম-দোয়াদ। আরবি ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত গরম,কঠোর সূর্যতাপ,দহন,জ্বলন,তৃষ্ণা এবং গলে যাওয়া। রমযান মাসে যেহেতু নেক আমলের কারণে বিগত গুনাহ বা পাপগুলো বিমোচিত হয়ে যায় কিংবা গলে গলে নিঃশেষ হয়ে যায় সেজন্যেই এ মাসের নাম হলো রমযান।

রমজানে যা করবেন: দিনে অন্তত পাঁচবার নমাজ পড়তে হয় রমজান মাস চলাকালীন। এই মাসে অসহায় ও দরিদ্রদের প্রতি দান করার নির্দেশ রয়েছে ইসলামে। এই মাসে নিয়মিত কোরান পাঠ করা জরুরি। রমজান চলাকালীন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তাঁর স্তুতি করার নির্দেশ রয়েছে ইসলামে। অন্যান্য সময়ে আমরা সাধারণত বিভিন্ন কাজে সর্বদা ব্যস্ত থাকি।

এজন্য আমাদের অবশ্যই রমজান মাসকে যথাসম্ভব আল্লাহর ইবাদাত করার জন্য উত্সর্গ করতে হবে। রমজান মাসে অন্য মাসের তুলনায় একক নেক কাজের পুরষ্কার অনেক বেশি। রমজানের এই অভ্যাসটি বজায় রাখতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য একটি ভাল পরামর্শ হ’ল জিকর করা, বা ইসলামিক বক্তৃতা শুনা বা কুরআন তেলাওয়াত এবং হাদীস শোনা যেভাবে আপনি নিত্যদিনের অন্যান্য কাজগুলো করে থাকেন। “হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর”- [৩৩:৪১]

আর ‍পড়ুনঃ অসম্ভব হলেও সত্য, মাথা ছাড়াই ১৮ মাস বেঁচে ছিলেন এই মুরগি

রমজানে যা করবেন না: আল্লাহর রাসুল (সা.) দেরিতে ইফতার করতে নিষেধ করেছেন। সময়মতো দ্রুত ইফতার করলে উম্মাহ কল্যাণের ভেতর থাকবেন বলেছেন। সাহরি অনেক বরকতময় খাবার। রাসুল (সা.) সাহরি খেতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সাহরি খেতে না পারলে অন্তত অল্প কিছু হলেও খেয়ে নেওয়া উত্তম।

রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই রমজানের সময় যেন কোনোভাবে হেলায়-খেলায় নষ্ট না হয়; সেদিকে সর্বাত্মক খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে রমজানের শেষ দিনগুলোতে কেনা-কাটায় মেতে ওঠে। অথচ এমন না করা উচিত; বরং শেষ মুহূর্তের আমলে মগ্ন থাকা চাই। সত্য মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা মুসলমানদের কর্তব্য।

এছাড়াও সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকা চাই। এটা মুমিনের প্রাত্যহিক কাজ। তবু রমজানে বেশি সতর্কতা কাম্য।কোরআন তেলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছ। পবিত্র কোরআনে কারিম অর্থসহ বুঝে বুঝে খতম করা ও কিংবা তেলাওয়াত করা উত্তম। খেয়াল রাখতে হবে যে, কোরআন তেলাওয়াতের সময় যেন কোরআনের হক নষ্ট না হয়। তাড়াহুড়ো কিংবা অসুন্দরভাবে খতম করা অনুচিত।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।